ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাইবান্ধায় কমেছে নদ-নদীর পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২০
গাইবান্ধায় কমেছে নদ-নদীর পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

গাইবান্ধা: টানা তিন দিন ধরে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। যে কারণে বানভাসি মানুষের বাড়ি ঘর থেকে পানি এখনও নামতে শুরু করেনি। তাই বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২ সেন্টিমিটার ও ঘাঘটের পানি ১২ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে ব্রহ্মপুত্র এখনও বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে বলে জানিয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান।

 

অন্যদিকে, করতোয়ার পানি ৬ সেন্টিমিটার কমেছে আর তিস্তার পানি স্থিতাবস্থায় থেকে বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
এদিকে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া বানভাসি মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার, বিশুব্ধ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। অপরদিকে, বন্যাকবলিত এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটসহ বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসল, ভেসে গেছে পুকুর-বিলের মাছ, নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বসতভিটাসহ ফসলি জমি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিশ আলী বাংলানিউজকে বলেন, জেলার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৫৩৬ পরিবারের ১৭ হাজার ৮৪৪ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সরকারি ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৭ জন মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন। বাকিরা বাঁধ ও সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ২৫৫ ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বিতরণ করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বন্যার পানিতে জেলায় ৩ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির পাট, ১৯৬ হেক্টর আউশ ধান ও ১২৮ হেক্টর শাক-সবজি, ৪৩ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা, ৪৪ হেক্টর তিল ও ২০ হেক্টর জমির চিনা বাদাম নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।