বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকালে আত্মহত্যার ঘটনা দুইটি ঘটে। মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত জহিরুল ইসলামের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, জহিরুল একটি কোম্পানিতে সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরি করতেন। তার বাবার নাম আলতাফ হোসেন। বাড়ি বরিশাল কোতোয়ালী উপজেলায়। পরিবার নিয়ে বাড্ডা সাতারকুল রোডের একটি বাড়ির ৫ম তলায় ভাড়া থাকতেন।
তিনি জানান, সকালে বাথরুমে জহিরুলের প্যান্ট পড়ে থাকতে দেখেন এবং পাশে ঘুমের ট্যাবলেটের খালি খোসা দেখতে পান। পরে সন্দেহ হলে জহিরুলের রুমে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। বিভিন্ন কারণে মানসিক দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। এই কারণেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে তার স্বজনদের ধারনা।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. রহমান জানান, আমরা সকাল ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই জানা যাচ্ছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এদিকে জায়িম সুলতানার খালা রোকেয়া সুলতানা জানান, তাদের বাড়ি পিরোজপুর ভান্ডারিয়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আ. ওহাব। পরিবার নিয়ে ডেমরা মুসলিমনগরে থাকেন। দুই ভাইবোনের মধ্যে বড় জায়িম রাজধানীর মহানগর কলেজে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ৭ তলা বাসায় সবার অগোচরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় সে। পরে দেখতে পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এজেডএস/জেআইএম