বুধবার (১ জুলাই) বেলা ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢামেকের মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মজিবুর রহমান, অধ্যাপক ডা. বিল্লাল আলম, অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবার, উপ-পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ, সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুন নাহারসহ সংশ্লিষ্টরা।
সংবাদ সম্মেলনে ২০ কোটি টাকার খাবার বিল প্রসঙ্গে ঢামেক পরিচালক বলেন, ওই বিলে শুধু চিকিৎসক নয়, নার্সসহ হাসপাতালের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা, খাওয়া, পরিবহন খরচসহ সব খরচ দেখানো হয়েছে। গত ২ মে থেকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে করোনা রোগী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মচারীদের কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য কিছু আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়।
‘জুনের প্রথম দিকে হোটেল বাজেট দিয়েছিলাম ২০ কোটি টাকা। প্রথমে প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালকে ১ কোটি করে টাকা দেওয়া হয়েছিল। আমরাও পেয়েছিলাম। সেই টাকা দিয়ে পরিবহন ও হোটেলের কিছু বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত থাকা খাওয়ার জন্য ৩০টি হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন- অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. মোজাফফর হোসেন, সদস্য সচিব উপ-পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সদস্য ডা. আশরাফুন নাহার। ওনারা হোটেলে যাতায়াতসহ খাওয়ার ব্যাপারটি তদারক করেন। প্রত্যেক হোটেলের সঙ্গে আমাদের চুক্তিপত্র আছে। ’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে অধ্যাপক বিল্লাল আলম বলেন, শুধু চিকিৎসকদের খাওয়া খরচ ২০ কোটি টাকা, আমারা কী এমন ডাক্তার, যে একটি কলা ১ হাজার টাকা দিয়ে কিনে খাবো? এসব কথা যেখানে বলা হয়েছে, আমার মনে হয়ে এর কোনো ভিত্তি নাই। এতে চিকিৎসক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অবশ্যই এর তদন্ত হওয়ার দরকার ছিল।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যদি স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি হয়ে থাকে অবশ্যই তদন্ত করা উচিত। আমরাতো ইচ্ছা করে হোটেলে থাকতে চাই না। যদি সুযোগ থাকতো হোম আইসোলেশনে থাকার বা হাসপাতালে থাকার, তাহলে সেটাই করতাম। কাল্পনিকভাবে ফেসবুক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের ভিত্তিহীন কথা ছড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
এজেডএস/এইচজে