বুধবার (০১ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে আদিতমারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার চেয়ারম্যান শওকত আলী উপজেলার পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মামলার বাদী টিসিবি ডিলার নুরবক্ত মিয়া পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর ফকিরটারী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় নামুড়ি বাজারের ওষুধ বিক্রেতা ও টিসিবি পণ্যের ডিলার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার এক এজেন্সির মাধ্যমে সৌদিতে কাজে যান পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি বাজারের টিসিবি ডিলার নুরবক্তের ভাই নুরে আলম। পরে একই এজেন্সির মাধ্যমে উপজেলার পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত আলীর নাতিও সৌদিতে যান। নুরবক্তের ভাইয়ের কাগজ সঠিক থাকলেও চেয়ারম্যানের নাতির কাগজ ঠিক না থাকায় তিনি অবরুদ্ধ রয়েছেন।
তার নাতিকে সৌদিতে বিক্রি করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে গত ৮ জুন সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী দলবল নিয়ে নুরবক্তের টিসিবির দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিলে ডিলার নুরবক্তকে এলোপাতারি মারধর করে। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার ভাই নুর হোসেন ও প্রতিবেশী আনারুলও গুরুতর আহত হন। এ সময় দোকানে থাকা টিসিবির পণ্য বিক্রির দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন হামলাকারীরা। বিষয়টি জানতে পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এলে দলবল নিয়ে পালিয়ে যান চেয়ারম্যান শওকত আলী। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় বিচার চেয়ে টিসিবি ডিলার নুরবক্ত বাদী হয়ে পরদিন ৯ জুন ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলীকে প্রধান করে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বুধবার (০১ জুলাই) সকালে আদিতমারী এলাকা থেকে প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলীকে গ্রেফতার করে আদিতমারী থানার পুলিশ।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
আরএ