মঙ্গলবার (৩০ জুন) সন্ধ্যার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত আগের মতো চলাচল সীমিত রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সময়ে সীমিতভাবে সরকারি-বেসরকারি অফিস চলমান থাকবে।
ঈদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুরহাট বসানোর পাশাপাশি দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। আগে দোকানপাট খোলা ছিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চলাচল সীমিত করে অফিস-আদালত এবং গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। সেই মেয়াদ পরে ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট ঈদ-উল-আজহা উদযাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যে সীমিত পরিসরে চলাচলসহ অন্য কার্যক্রম আছে, ১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সেভাবেই চলবে।
‘ঈদে কোরবানির পশুরহাটের ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে। ঈদ সামনে রেখে সার্বিক দিক বিবেচনা করে তিন ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ’
জনসচেতনা বাড়ানো ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে সচেতন করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং তথ্য মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী প্রচারণা চালাবে বলেও সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
সরকারের এসব সিদ্ধান্ত শীর্ষ পর্যায় থেকে হাতে পেয়েছেন জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, আশা করছি ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে এসব বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সেখানে এসব বিষয়ে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা দেওয়া থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এমআইএইচ/এএ