খুলনা-চিলাহাটিগামী রেলপথ সৈয়দপুর শহরের ভেতর দিয়ে গেছে। শহরের ভেতর প্রায় ৫ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে।
ট্রেন কাছাকাছি এলে তাড়াহুড়ো করে লোকজন ও দোকানপাট ওঠে যায়। এতে করে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে এসব এলাকায় তিন জন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। তবুও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।
এছাড়া বেরিয়ার ফেলানো ছাড়াই ট্রেন চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। রেললাইন ঘেঁষে দোকানপাট, রেললাইনের উপরে বাঁশের হাট ও অবাধে গরু-ছাগল চড়ানোর কারণে এ পথে চলাচলকারী ১২টি ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য ওয়াগন ও কোচ আনা-নেওয়া করা হয় এই লাইন দিয়েই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেললাইনের উভয় পাশে কমপক্ষে ২০ ফুট করে জায়গা ফাঁকা রাখার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলওয়ের উভয় পাশে পর্যাপ্ত জায়গা রেখে সীমানা নির্ধারণ করে রেখেছে। কিন্তু এসব জায়গা চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারদের কবলে।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী জানান, এরই মধ্যে রেললাইনের ধারে বেশকিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই রেললাইনের ওপর দোকানপাট বসানো ও জটলা বন্ধ করা হবে।
রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান জানান, ঘিঞ্জি শহর সৈয়দপুরের ভেতর দিয়ে রেললাইন চলে গেছে। মানুষজনকে শৃঙ্খলায় আনার জন্য কাজ করছে রেলওয়ে পুলিশ। রেললাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা স্থাপনা ও দোকানপাট সরিয়ে দেওয়া হবে। রেললাইনের ওপরে কোনো দোকানপাট থাকবে না।
বাংলদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
আরএ