ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নাজিরপুরে আত্মসাৎ করা চাল ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
নাজিরপুরে আত্মসাৎ করা চাল ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য

পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আত্মসাৎ করা চাল ভুক্তভোগী কার্ডধারীকে ফেরত দিয়ে তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এক ইউপি সদস্য। 

স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় এ সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই কার্ডধারী।  

জানা যায়, উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমছের মোল্লার ছেলে খায়রুল মোল্লার নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির একটি কার্ড বরাদ্দ হয়।

কিন্তু কার্ডধারী খায়রুল জানতেন না তার নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বরাদ্দ হয়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবুল মিয়া কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে ওই কার্ডের চাল উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। গত মাস দুয়েক আগে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগে ওই ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্যকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  পরে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এ ঘটনায় ভীত হয়ে গত শনিবার (২৭ জুন) রাতে ওই ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া কার্ডধারী খায়রুল মোল্লার বাড়িতে গিয়ে তার নামে ইস্যু হওয়া কার্ডটি তাকে বুঝিয়ে দেন। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া কার্ডধারী খায়রুল মোল্লাকে ৫৪০ কেজি চাল ফেরত দিয়ে বিষয়টি আপস মিমাংসা করেন এবং নিজের দোষ স্বীকার করে কার্ডধারীর কাছে ক্ষমা চান।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হলে কার্ডধারী খায়রুল মোল্লা জানান, স্থানীয়ভাবে এক বৈঠকে ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া আমাকে আমার কার্ড ও ৫৪০ কেজি চাল ফেরত দিয়েছেন এবং স্থানীয়ভাবে একটি লিখিত আপস মিমাংসাও হয়েছে। সেখানে তিনি তার ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আপস মিমাংসায় সম্পৃক্ত দুজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারাও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেম্বর সরল বিশ্বাসে কার্ডটি ফেরত দিয়ে ফেঁসে গেছেন। ফেরত না দিলে বিষয়টি আর কেউই জানতো না। তাছাড়া এ নিয়ে বিচার ব্যবস্থা করতে গেলে আরো ঝামেলা বেড়ে যায়। তাই বিষয়টি আপস মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য মো. বাবুল মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই
কর্মসূচির শুরু থেকেই খায়রুল মোল্লার নামে কার্ডটি ইস্যু হয়েছে। কার্ড নম্বর-২১।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।