শনিবার (২৭ জুন) রাতে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের ফিরিঙ্গি এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
নিহতদের মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ফারুক হোসেনকে (৩৫) শনাক্ত করা গেলেও অপর দুইজনের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ওমর ফারুক চৌধুরী জানান, রোববার সকাল ১০টার কিছু পরে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
অধিক রক্তক্ষরণের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তবে অভিযানের বিষয়ে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করা হলেও র্যাব-৬ এর মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। র্যাব এর ডিজি খুলনায় প্রেস কনফারেন্স করে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, খান বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে বাংলাদেশ অংশের জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের আগেই তারা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করে ভারতে চলে যেয়ে সেখানে অবস্থান করতো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পশ্চিম সুন্দরবনে খান ও বুলবুলসহ কয়েকটি ছোট ছোট দস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত ২০ জুন সুন্দরবনে মাছ শিকারে যাওয়া চার জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে একটি দস্যু বাহিনী। ওই ঘটনার পর র্যাব সদস্যরা গত শুক্রবার থেকে পশ্চিম সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
আরএ