সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান খোলা থাকলেও নেই কাজের ব্যস্ততা। সকালে বাসা থেকে এসে দোকান খুলে বসে থেকে আবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
মাগুরা শহরে প্রায় একশ’র বেশি ছোট বড় মাইক ও ডেকোরেটর ব্যবসায়ী রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে রোজগার না থাকায় অসহায় অবস্থায় রয়েছেন দিন যাপন করছেন তারা। সরকারিভাবে কয়েকবার ত্রাণ দিলেও তা নামমাত্র।
মাগুরা নতুন বাজার রবি সাউন্ডের মালিক বিপ্লব অধিকারী বলেন, আমাদের মাগুরা জেলায় প্রায় একশ’র বেশি মাইক ব্যবসায়ী রয়েছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন মাসে আমাদের তিনশ টাকাও আয় হয়নি। কর্মচারীদের খরচ দিতে হচ্ছে। জমানো টাকা যা ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একবার ত্রাণ পেয়েছিলাম।
তরুণ ডেকোরেটরে চাকরি করেন মোহম্মদ কামাল হোসেন (৪০)। পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার একমাত্র ভরসা তিনি। কিন্তু গেল তিন মাসে দোকান বন্ধ থাকায় কামালের বেতনও বন্ধ।
একই অবস্থা জেলার সব ডেকোরেটর ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের। করোনায় সব ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক আয়োজন বন্ধ থাকায় কঠিন বিপদে পড়েছেন তারা।
জেলা ডেকোরেটর্স ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সদস্য তরুণ ভৌমিক বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক সময় লাগবে। অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। গত কয়েক মাসে বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে। কর্মচারী পাওয়া যাবে না। নানা কারণে অনেকে এই ডেকোরেটর শিল্প থেকে হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।
ডেকোরেটর ব্যবসায়ী সমিতির হিসাব অনুয়ায়ী, মাগুরা জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে মাইক, ডেকোরেটর ও কমোনিটি সেন্টার রয়েছে প্রায় তিনশ, আর এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জেলে, কামার, তাঁতি, ঋষি, মাই ও ডেকোরেটর শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব পেশাজীবী মানুষের তালিকা করে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
আরএ