নিহতরা হলেন- বশির আহমদ, মো. হামিদ, মো. রফিক ও রইঙ্গা। এদের মধ্যে বশির ও হামিদ আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের ভাই।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিম বাহিনীর সদস্যরা টেকনাফের শাপলাপুর ও উখিয়ার মনতলী পাহাড়ের মাঝামাঝি হোয়াক্যং পাহাড়ে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে হাকিম বাহিনীর চার সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিহতরা সবাই শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিমের সহযোগী ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ, ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা ক্যাম্পে ত্রাস হিসেবে পরিচিত। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অভিযানে আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের ভাই কবির আহমদ, নজির আহমদ ও স্ত্রী রুবি আকতার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
ইকবাল হোসাইন জানান, মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এসবি/আরবি/