ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনায় বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
পাবনায় বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 

পাবনা: পাবনায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে মোট মৃত্যুবরণ করছে ৮ জন আর বেসরকারি হিসেবে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ১২ জন। 

গত চব্বিশ ঘণ্টায় জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন। জেলায় সর্বশেষ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৫ জন।

সবচেয়ে বেশি পাবনা সদরে ২৪৬ জন। আর পরের স্থানে সুজানগর উপজেলায় ৫২ জন। এ পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১৮৮ জনের।

পাবনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩২ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত সবাইকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২ জন। সবারই শারীরিক অবস্থা বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত পাবনায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৬ এপ্রিল।

এদিকে পাবনায় করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লেও পিসিআর ল্যাব না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। জেলার নয় উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাতে হচ্ছে রাজশাহী অথবা ঢাকাতে। এতে ফলাফল পেতে দেরি হচ্ছে। বিশেষ করে নমুনা দেওয়ার পর ফলাফল পেতে সময় লাগছে পাঁচ থেকে দশ দিন পর্যন্ত। আর এই ফলাফল আসতে দেরি হওয়ায় নমুনা দেওয়া ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত কি না তা স্বল্প সময়ে জানা সম্ভব হচ্ছে না আর এই কারণে আরোও ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস।

ইতোমধ্যে জেলায় দুটি ব্যাংক এর শাখা লকডাউন করা হয়েছিল। পাবনা মেডিক্যাল কলেজে বা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব বসিয়ে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

পাবনা সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল ও পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে পৌর এলাকার করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন বিষয় নিয়ে একটি সমন্বয় মিটিং হয়েছে। তবে শহর লকডাউন করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি ওই সভায়। শুধু যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের বাড়ি লকডাউন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে পাবনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান, এলাকাভিত্তিক জন প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা করোনা পরিস্থিতি বিষয়ক মিটিং হয়েছে। সেখানে প্রতিটি এলাকার কাউন্সিলর স্ব স্ব এলাকার করোনা আক্রান্ত বাড়ির লকডাউন বিষয় দেখভাল করবে। আইন অমান্য করলে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ জানান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবনা মেডিক্যাল কলেজে ল্যাব স্থাপনের সব সুযোগ সুবিধা আছে। কমপক্ষে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের ব্যাপারে চেষ্টা চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ