শুক্রবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নিচু এলাকাগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে।
তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পানির চাপে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। এতে জেলার তিস্তা তীরবর্তী বেশ কিছু বসতবাড়ির লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তা তীরবর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে লোকালয়ে ঢুকছে। এতে বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা অববাহিকার ৫টি ইউনিয়নের চরের ফসলি জমিগুলো প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত চরখড়িবাড়ি এলাকার একটি ক্রস বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
ডিমলা পূর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন জানান টানা-বর্ষণে এবং তিস্তার নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণে তিস্তার তীরবর্তী গ্রাম ও চরাঞ্চলের অধিকাংশ পরিবার অনেকেই মাছের খামার জাল দিয়ে ঘিরে রাখছে, কেউ গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে জেলার নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা সদরের তেলিপাড়ায় ধাইজান নদীর ভাঙনে কাঁচা রাস্তাসহ প্রায় ১৫০ ফুট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে ওই গ্রামের ৩০টি বাড়ি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে করেছেন।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা তিস্তা নদীর অববাহিকায় বসবাসকৃত মানুষজনের উপর নজর রাখছি। এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের নজরদারী বাড়াতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নীলফামারীর তিস্তা অববাহিকায় সরকারিভাবে প্রায় ১২টি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যখন যার প্রয়োজন হবে ওই নৌকাগুলো তাদের সহায়তা করবে। তিনি সরকারি ত্রাণের বিষয়ে জানান পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী মজুদ রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
আরএ