শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চেয়ারে নিস্তেজ অবস্থায় তাকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন- এমন ধারণার আশঙ্কা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেউ তার কাছে যাননি।
এ অবস্থায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার অবস্থা নিশ্চিত করে তাকে সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয়রা থানায় খবর দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে একা বসবাস করতেন আইনজীবীব কৃষ্ণ কমল দত্ত। মনোমালিন্যের কারণে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। তাদের সংসারে কোনো সন্তানও নেই।
স্থানীয়রা আরও জানান, হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় কৃষ্ণ কমল বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ছুটে যান চিকিৎসার আশায় ভর্তির জন্য। কিন্তু সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় স্থানীয় খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ কিছু ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।
এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত- কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছসেবক দল খবর পেয়ে তার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষ্ণ কুমারের মরদেহ সৎকার করার উদ্যোগ নেবেন বলে জানা গেছে।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বাংলানিউজকে বলেন, তারা খবরটি পেয়েছেন। খবর পাওয়ার পর পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এসএস/আরআইএস