ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বসুন্ধরার জাহাজে ধাক্কা: ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
বসুন্ধরার জাহাজে ধাক্কা: ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

ঢাকা: ভোলার মেঘনা নদীতে পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ রোকনুর-১৯ এর ধাক্কায় বসুন্ধরা গ্রপের পণ্যবাহী এমভি এসএ বাশার নামের জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাহাজটিকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচাতে একটি ডুবোচরে নোঙর করে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের মাস্টার ইউসুফ আলী ভোলার দৌলতখান থানায় পণ্য এবং জাহাজের মোট ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যবাহী জাহাজ এমভি এসএ বাশার চৌকিঘাটা এলাকা থেকে কিছু দূরে নদীতে ডুবোচরে কাত হয়ে রয়েছে।

প্রায় শতাধিক শ্রমিক ওই জাহাজ থেকে গম নামাচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে দৌলতখান উপজেলার চৌকিঘাটা এবং রামগতি উপজেলার সেলিম বাজারের মধ্যবর্তী মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে জাহাজের মাঝ বরাবর বড় ধরনের ফাটলের সৃষ্টি হয় এবং জাহাজে থাকা ১৯৫০ মেট্রিক টন গমের ভিতর পানি প্রবেশ করে।  

ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের মাস্টার এবং স্টাফরা বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনার পর আঘাতকারী জাহাজ এমভি রোকনুর-১৯ কে দাঁড়াতে বলা হলে তারা না দাঁড়িয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ওই এলাকায় নোঙর করে রাখা রোকনুর-৭ নামের অপর একটি খালি জাহাজ ডুবন্ত জাহাজটিকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে। বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পর্যন্ত ডুবন্ত জাহাজ থেকে প্রায় দুই শত মেট্রিক টন গম উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের মাস্টার ইউছুপ বাংলানিউজকে জানান, এমভি ইএল মাটাদর নামক মাদার ভেসেল থেকে ১৯৫০ মেট্রিকটন গম নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাড়া করা ইরা করপোরেশনের এমভি এসএ বাশার কার্গো জাহাজটি ঢাকায় যাচ্ছিল। চৌকিঘাট এলাকার মাঝামাঝি পৌঁছালে অবৈধভাবে ওভার টেকিং করতে গিয়ে রোকনুর-১৯ সজোরে এসে ধাক্কা দিলে এর মাঝ খানের হেজ ফুটো হয়ে গমের মধ্যে পানি ঢুকে পড়ে। পরে দ্রুত জাহাজটিকে দৌলতখান উপজেলার চৌকিঘাটা এলাকার একটি ডুবো চরে নিয়ে নোঙর করানো হয়।

মাস্টার ইউসুফ আরও জানান, ভোলার উপকূলবর্তী মেঘনা নদীর ওই নৌ-রুটটিতে বিআইডব্লিউটিএ’র কোনো ধরনের তদারকি নেই। তাই অধিকাংশ জাহাজের নাবিকরা নিয়ম মানে না। মন মতো জাহাজ চালায় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়। রোকনুর-১৯ জাহাজটিও অবৈধভাবে এসে তার জাহাজকে আঘাত করে।

বিআইডব্লিউটিএর ভোলা বন্দর কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, কেবল যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোই বিআইডব্লিউটিএ তদারকি করে থাকে। অচিরেই হয়তো পণ্যবাহী এসব লাইটারেজও বিআইডব্লিউটিএ তদারকি করবে। এই চ্যানেলটি অনেক স্থানে সরু। তাই সাবধানে যাতায়াত করা উচিত।

বসুন্ধরা গ্রুপের সুপার ভাইজার উজির আলী বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।  

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
এমআইএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।