ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনকালেও সৈয়দপুর রেল কারখানায় মেরামত হচ্ছে ১০১টি কোচ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০
করোনকালেও সৈয়দপুর রেল কারখানায় মেরামত হচ্ছে ১০১টি কোচ কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে কোচ। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় করোনাকালেও শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজ করছেন। দেশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে ১০১টি কোচ। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা কম জনবল নিয়েও এসব কাজ করছেন।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কোচ মেরামতের কাজ করছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। কেউ বডি স্থাপন করছেন, কেউবা যন্ত্রপাতি লাগাচ্ছেন কেউবা আবার পেইনটিংয়ের কাজ করছেন।

ভারী মেরামত হচ্ছিল জেনারেল ওভার হোলিং শপে। শপ ইনচার্জ আরিফুর রহমান জানান, সাধারণ ছুটি শেষে গত ১ জুন থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। এখন আমরা খুবই ব্যস্ত।

কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে কোচ।  ছবি: বাংলানিউজরেলওয়ে কারখানার ২৮টি শপে (উপ-কারখানা) চলছে ব্যাপক কর্মব্যস্ততা। দেশের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা বা অকেজো কোচগুলো কারখানায় এনে মেরামত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২০টি কোচ মেরামত শেষ করে ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোর মেরামত কাজ চলছে পুরোদমে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে মোট ১০১টি কোচ মেরামত করা হবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

এসব কোচের মধ্যে ব্রডগেজ ৭৫টি ও মিটার গেজ লাইনের ২৬টি কোচ রয়েছে।

সূত্র মতে, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় শ্রমিক দুই হাজার আটশ ২৫ জনের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৯১৮ জন। এই অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে রেল কারখানায় চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। দীর্ঘদিনেও কারখানায় জনবল নিয়োগ না করায় অল্প সংখ্যক শ্রমিকে বেশি কাজ করতে হচ্ছে।

কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে কোচ।  ছবি: বাংলানিউজকারখানার কার্য ব্যবস্থাপক (ডব্লিউএম) শেখ হাসানুজ্জামান জানান, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। অতীতে চারটে পর্যন্ত কাজ হলেও বর্তমানে করোনা সঙ্কটে দুপুর ২টা টানা কাজ চলছে। ফলে অল্প সময়ে বেশি কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. জয়দুল ইসলাম জানান, করোনাকালে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের গ্লাভস, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। সেসঙ্গে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে কারখানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।