উপজেলার বারিবিন্দু ঘাট থেকে শুরু করে বটতলী, পূর্ব লাইল্যা ঘোনার পুরো এলাকায় বর্তমানে ভাঙন ধরেছে। স্থানীয়দের দাবি, গ্রাম রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এই বর্ষায় বিলীন হয়ে যাবে পুরো এলাকা।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা এই গ্রামে বসবাস করি। নদী ভাঙনের ফলে এখন আমাদের শেষ সম্বল বসত বাড়িটিও বিলীন হওয়ার পথে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই বর্ষায় বাড়িটিও নদীর গর্ভে চলে যাবে। আমার মতো এমন প্রায় আরও অর্ধশত পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের সাবেক নারী সদস্য জান্নাতি বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি সরকারের নজরে আনার চেষ্টা করেছি। কোনো কাজ হয়নি। তাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধন করাসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জাফর আলী খান বাংলানিউজকে বলেন, নদী যে হারে ভাঙছে, তা খুবই ভয়াবহ। নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
এসআরএস