ঢাকা: দেশের ১১টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ মোট ৬৭টি কারাগারে এবার ঈদ কাটাচ্ছেন প্রায় ৭৬ হাজার বন্দি। এরমধ্যে রয়েছেন রাজনৈতিক নেতা ও আমলা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (কারা-১) আলম আরা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশের সবগুলো কারাগারে ঈদ উপলক্ষে অভিন্ন আয়োজন করার নির্দেশনা এরই মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে কারাগারে ঈদের নামাজ আদায়, ঈদ আনন্দের আমেজ সৃষ্টি এবং নিয়মিত খাবারের পরিবর্তে খাবার তালিকায় যোগ হয়েছে পোলাও, খাসির মাংস, পায়েস, সেমাই, কোমল পানীয়, পান-সুপারি ইত্যাদি। ’
ঈদের দিন ভালমানের খাবারের জন্য বন্দিদের মাথাপিছু আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার তৌহিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঈদ উপলক্ষে বন্দিদের খাবার মেন্যুও পরিবর্তন করা হয়েছে। ঈদের দিন সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের সঙ্গে যোগ হয়েছে পায়েস, পোলাও, সালাদ, ঠান্ডা পানীয়সহ বরাদ্দ রাখা হয়েছে উন্নতমানের খাবার।
ঈদের ছুটির দিনগুলোতে বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনরা সহজেই দেখা করারও সুযোগ পাবেন। এ সময় বাড়ির রান্না করা খাবার দেওয়ার ব্যাপারেও সাধারণ নিয়মকানুন কিছুটা শিথিল রাখছে কারা কর্তৃপক্ষ।
সিনিয়র জেল সুপার আরও জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রায় ১০ হাজার ৭শ’ বন্দির জন্য দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮ টায় প্রথম জামাত এবং সকাল সাড়ে ১০ টায় ২য় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে আটক বন্দিরা ওই সেলের ভেতরেই ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঈদের দিন নাস্তা হিসেবে পায়েস আর মুড়ি দেওয়া হবে। দুপুরে থাকবে সাদা ভাত অথবা পোলাও, সালাদ, আলুর দম, ইলিশ মাছ, সেমাই এবং রাতে সাদা ভাত, খাসির মাংস অথবা ডিম ভুনা, ঠান্ডা পানীয়।
কারাগারে ঈদ উৎসবের আমেজ দিতে পান-সুপারি সরবরাহ করা হবে, থাকবে আনন্দময় সময় কাটানোর কিছু ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০