ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কক্সবাজারে ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
কক্সবাজারে ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন

কক্সবাজার: অবশেষে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে বহু আকাঙ্ক্ষিত ১০ শয্যার আইসিইউ ও ৮ শয্যার এইচডিইউ’র উদ্বোধন করা হয়েছে।

১০ ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ এ আইসিইউ সুবিধার কারণে করোনা মহামারির এসময়ে জেলার চিকিৎসা সুবিধা আরও একধাপ এগিয়ে গেছে।  

এতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেরও এখন থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

শনিবার (২০ জুন) সকালে জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষায়িত ভেন্টিলেটর সমৃদ্ধ ১৮ শয্যার আইসিইউ ও এইচডিইউ’র উদ্বোধন করা হয়।  

সকালে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাইমুম সরওয়ার কমল এ আইসিইউ ও এইচডিইউ’র উদ্বোধন করেন।

এটি স্থাপনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেয় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল বলেন, কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের সপ্ন ছিল এ আইসিইউ। এ আইসিইউতে স্বাস্থ্যখাতে র্সবোচ্চমানের সহায়তা ও সেবা নিশ্চিত করা হবে। কক্সবাজারের মানুষকে আর চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হবে না। আমরা এ সহযোগিতার জন্য ইউএনএইচসিআরকে ধন্যবাদ জানাই।

কক্সবাজাররে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসনে বলেন, এ আইসিইউ উদ্বোধনের মাধ্যমে কক্সবাজারের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কক্সবাজারের চিকিৎসাসেবার সক্ষমতা আরও এক ধাপ বেড়েছে।  

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ইউএনএইচসিআর-এর সহযোগিতায় স্বয়ংসম্পূর্ণ ১০ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও ৮ শয্যার এইচডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া এখানে রয়েছে ১০টি ‘ভেন্টিলেটর’।

তিনি বলেন, এ আইসিইউ সুবিধার কারণে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এখন থেকে করোনায় আক্রান্ত জটিল রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। আগামী রোববার (২১ জুন) থেকে রোগীরা এ সুবিধা পাবেন।

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, পুরাতন মেডিক্যাল কলেজ ভবনের ৫ম তলায় ‘আইসিইউ’ ও ‘এইচডিইউ’ ইউনিট স্থাপন করা হয়। এটি পরিচালনায় ব্যয় বহন করবে ইউএনএইচসিআর।

ইউএনএইচসিআর জানায়, ইতোমধ্যেই কক্সবাজারে দু’টি সিভিয়ার একিউট রেস্পিরেটরি ইনফেকশন আইসোলেশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (সারি আইটিসি) চালু করে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছে। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষ করে এরইমধ্যে ২৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়াও ইউএনএইচসিআর ও মানবিক কার্যক্রমে জড়িত সংস্থাগুলো সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ, সহায়তা ও পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দিয়েছে।


ইউএনএইচসিআর-এর সিনিয়র অপারেশনস কোঅর্ডিনেটর হিনাকো টোকি বলেন, আজকের এ বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমরা স্মরণ করি পৃথিবীর সব শরণার্থীদের। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। জীবন ও মর্যাদা রক্ষার লড়াই এবং তাদের দৃঢ় প্রত্যয়কে। আজকের এ সদর হাসপাতালের আইসিইউ উদ্বোধনই প্রমাণ করে এ বছরের বিশ্ব শরণার্থী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘এভরিওয়ান ক্যান মেক আ ডিফরেন্স, এভরি অ্যাকশন কাউন্টস’ অর্থাৎ প্রতিটি কাজই গুরুত্বপূর্ণ আর প্রত্যেকেই পারে পরিবর্তন আনতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
এসবি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।