ঘটনার মাত্র দুইদিনের মাথায় এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যায় জড়িত অপর তিন প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ জুন বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকোরি গ্রামের মৃত খয়ের উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন খুন হন। মোবারককে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী রানী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে মামলা করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে সোনাবাজু গ্রামের কাঁচু খার স্ত্রী আরিফা বেগমকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং অপর তিনজন প্রেমিকের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা জানান। পরে পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে।
তারা হলেন- সোনাবাজু গ্রামের ইমরুল প্রামাণিকের ছেলে রশিদ প্রামাণিক (৩৮) একই গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জিহাদ আলী (৩২) এবং ইকোরি গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩৫)।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আরিফা। তিনি পালাক্রমে মোবারকসহ চারজনের সঙ্গেই অবৈধ মেলামেশা করতেন। তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতেন। মোবারক ঠিকমত আরিফাকে টাকা দিতেন না। এছাড়াও অন্যদের সঙ্গে আরিফার সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেন। এতে আরিফা ক্ষুব্ধ হয়ে অপর তিন প্রেমিককে নিয়ে তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
ঘটনার দিন মোবারক গরু চরাতে গেলে আরিফা তাকে প্রলোভন দিয়ে পাট ক্ষেতে ডেকে নিয়ে যান। এরপর কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্তরা মোবারককে হত্যা করেন। পরে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলিপ কুমার দাস, ডিবির ওসি আনারুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
আরএ