কুয়েতের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, কাজী শহীদ ইসলামের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অতিরিক্ত ভিসা নবায়ন ফি আদায়, কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করছে কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট- সিআইডি। তার বিরুদ্ধে ১১ জন বাংলাদেশি সাক্ষীও দিয়েছেন।
এছাড়া পাপুলের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেকবই জব্দ করেছে সিআইডি। একই সঙ্গে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ জুলাই। সে কারণে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত তাকে আটকই থাকতে হবে। আর এ মামলার শুনানি কবে শেষ হবে সেটা এখনই কেউ বলতে পারছেন না।
সূত্র জানায়, মানবপাচার ও অর্থপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৭ জুন কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিনপার্টমেন্ট সিআইডি এমপি পাপুলকে আটক করে। তাকে দেশটির সিআইডি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কুয়েত সিআইডি এসব অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে। এছাড়া পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে কুয়েতের তিনজন সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এদিকে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে, এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে সেই চিঠির জবাব এখনো আসেনি।
এর আগে ৭ জুন কুয়েতে এমপি মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপুলের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম।
সূত্র জানায়, মানবপাচার ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার থেকে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট-সিআইডি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলও রয়েছেন।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন কাজী শহীদ ইসলাম। তার বিরুদ্ধে কুয়েতে মানবপাচার করে এক হাজার ৪শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারি থেকে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানও শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
টিআর/এএ