ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় ২৪ কোরবানির পশুর হাট

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় ২৪ কোরবানির পশুর হাট

ঢাকা: কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও আসন্ন ঈদ-উল আজহা কেন্দ্র করে রাজধানীতে বসতে যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাট। ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪টি স্থান। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, পশুর হাটে মেনে চলা হবে স্বাস্থ্যবিধি।
 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) এবার ১০টি স্থানে পশুর হাট বসবে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) হাট বসবে ১৪টি।

এছাড়াও গাবতলীতেও বসবে কোরবানির পশুর হাট।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, নিজেদের এলাকার ১০টি হাটের স্থান এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আগের বছরগুলোতে যেসব হাট ছিল সেগুলোও এবার থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। এগুলোর মধ্যে আছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং হাট, আগারগাঁও, ৩০০ ফিট, উত্তরা-১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম অংশে ও ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের ফাঁকা জায়গা, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়কসংলগ্ন (বছিলা), মিরপুর পুলিশ লাইনসের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড-৬-এর (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গা, ভাটারা (সাঈদনগর) পশুর হাট, মিরপুর ডিওএইচএসের উত্তর পাশের সেতু প্রোপার্টি ও সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী পশুর হাট, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠ, বাড্ডার ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) সড়কের হাট ইত্যাদি।  

১০টি হাটের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯টি হাটের জন্য ইজারার দরপত্র জমা পড়েছে করপোরেশনের কাছে। প্রায় ৮৫ থেকে ৯০টি দরপত্র পড়েছে। বাকি হাটের দরপত্র আহ্বান করে শিগগিরই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। আগামী রোববার (২১ জুন) নাগাদ সবকিছু চূড়ান্ত করা হয়ে যেতে পারে।

এদিকে নিজেদের ১৪টি স্থানের হাটের জন্য গত ১৪ জুন দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রথম পর্যায়ে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৮ জুন।
দরপত্র আহ্বান করা ডিএসসিসি এলাকার অস্থায়ী পশুর হাটগুলো হলো- উত্তর শাহজাহান পুরের মৈত্রী সংঘ মাঠ এলাকার খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলোজি মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, কামরাঙ্গীরচরের ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে দক্ষিণ বুড়িগঙ্গা বাঁধ পর্যন্ত খালি জায়গা, পোস্তাগোলা শ্মশান ঘাট এলাকার খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, খিলগাঁও মেরাদিয়া বাজারের আশপাশের খালি জায়গা, আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, গোপীবাগের বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকা, ডিএসসিসির আফতাফ নগরের (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি ও এইচ এবং সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের খালি জায়গা এবং লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠের আশপাশের খালি জায়গা।

 

 

এবারের হাটে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। তাই হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয় দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেই।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, যদিও আমাদের বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি এখনও নেই। তবে ইজারা দেওয়ার সময় ইজাদারদের প্রতি এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা থাকবে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন না তাদের ইজারা বাতিল করা হবে। প্রতিটি হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি প্রবেশের সময় হাত ধোয়াসহ আরও যেসব বিষয় আছে সেগুলো নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া।

ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন বলেন, এখন মাত্র ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ইজারা চূড়ান্ত হলে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে হাট পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে ইজারাপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধির প্রশ্নে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট পালিত হবে ঈদ-উল আজহা। সেই হিসেবে ঈদের আগের চারদিন এবং ঈদের দিন হাট চালু থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।