বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে গুরুতর অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তাকে আনা হয়। বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মৃত মেহেদী মোস্তফা (৩২) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঢাকায় একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতেন। মেহেদী ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি গ্রামের গোলাম মোস্তফা ওরফে দুলালের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির গাছের আম পাড়া নিয়ে মেহেদী মোস্তফার সঙ্গে তার চাচা মফিজুল হকের ছেলে জিহাদের (২৮) কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জিহাদ দা দিয়ে মেহেদীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। স্বজনরা প্রথমে তাকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মেহেদীকে টাঙ্গাইলে আনার পর রক্ত দেওয়া হয়। তারপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঢাকায় নেওয়ার সময় বিকেল পাঁচটার দিকে টাঙ্গাইল হাসপাতাল চত্বরেই তিনি মারা যান।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলা হয়নি। হামলাকারি জিহাদ পলাতক রয়েছেন। তার মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এনটি