স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতিবাদের পর সোমবার (১৫ জুন) উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত খাদ্যশস্য বিতরণের কার্ডটি ফেরত পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
জানা গেছে, উপজেলার কসবা ইউপির কাজলা গ্রামের সাগর আলীর স্ত্রী রুবেদা বেগমের নামে ২০১৭ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ইস্যু হয়।
ইস্যুকৃত কার্ডটি কসবা ইউনিয়নের ডিলার ইমরান আলীর বিক্রয় পয়েন্ট গোলাবাড়ী এলাকায়। রুবেদা বেগমের অভিযোগ, কসবা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ফজলুর রহমান, স্থানীয় নেতারা ও ডিলারের যোগসাজসে তার কার্ডটি অন্য লোক ব্যবহার করে বিগত ৩ বছর যাবত চাউল উত্তোলণ করে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পেরে খাদ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
পরে রুবেদার স্বামী সাগর আলী বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন। উপজেলা খাদ্যকর্মকর্তা তদন্ত শেষে পূর্বের কার্ডটি বাতিল করে রুবেদা বেগমের নামে সোমবার নতুন কার্ড ইস্যু করেন।
এদিকে অসহায় রুবেদা বেগমের কার্ড অন্যজন এতদিন ব্যবহার করে চাউল উত্তোলণ করার বিষয়ে ডিলার ইমরান আলী দায় এড়িয়ে বলেন, কার্ডধারীরা অনেকেই আসেন না। তারা বাহকের মাধ্যমে চাউল উত্তোলণ করে থাকে। রুবেদা বেগমের কার্ডে কে চাউল উত্তোলণ করেছে, তা তিনি বলতে পারবেন না।
কসবা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুর রহমান জানান, রুবেদা বেগমের নামে কার্ড ইস্যু হয়েছে। তবে ওই কার্ডে কে চাউল উত্তোলণ করেছে, তা তিনি জানেন না। তবে ভুক্তভোগী রুবেদা বেগম ও তার স্বামী সাগর আলীর অভিযোগ, একটি প্রতারক চক্রের যোগসাজসেই ১১৮নং কার্ডের চাউল বিগত ৩ বছর যাবত আত্মসাৎ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ওএফবি