বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকাল থেকে ঢাকা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় ডিএনডি এলাকায়। এ ছাড়া জালকুড়ি এলাকার কিছু স্থানে প্রায় কোমর পানি ভেঙে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ।
জালকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আফজল আলী বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে ঘর-রাস্তা সবেই। বৃষ্টিতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এবার বৃষ্টির পানিতে আমাদের ডুবতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় আমাদের পানির সঙ্গেই মানিতে চলতে হচ্ছে। পানি সঙ্গে মানানো যায়, কিন্তু পানির সঙ্গে আসা ময়লা-আবর্জনা ও বিভিন্ন পোকামাকড় নিয়ে পড়তে হয় সমস্যায়। পানির কারণে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে থাকতে হয়।
একই অভিযোগ করে ডিএনডি এলাকার বাসিন্দারা। তারা দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। এ অবস্থা থেকে দ্রুত মুক্তির আকুল আবেদন জানান ডিএনডি এলাকার বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক, মার্কেট ও বসবাসের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এতে পানি প্রবেশ করেছে মার্কেটের দোকানে ও বাসা বাড়ির অভ্যন্তরেও। সরেজমিনে শহরের জামতলা ও চাষাঢ়া সমবায় মার্কেটে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এতে দেখা যায়, সমবায় মার্কেটে পানি প্রবেশ করায় দোকানিরা মার্কেট খুলে দোকানের ভেতরের পানি বাইরে বের করতে চেষ্টা করছেন। একই অবস্থা বাসাবাড়ির ক্ষেত্রেও। সেখানেও ঘরে ঘরে পানি প্রবেশ করায় তারা পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এর অধ্যে অনেক সড়কে হাঁটু পানি জমেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া এলাকাও পানিতে তলিয়েছে।
চাষাঢ়া সমবায় মার্কেট পরিচালনা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম জানান, পানি মার্কেটে প্রবেশ করে অনেক দোকানেই ডুকেছে। এটি তো আমাদের করার কিছু নেই। সিটি করপোরেশন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবে।
জামতলা এলাকার বাসিন্দা করিমুল মিয়া জানান, পানিতে ঘরে একেবারেই খারাপ অবস্থা। ঘরেই পানি। এ পানি কিভাবে সরাবো সেটাই ভেবে পাচ্ছিনা। ঘরের আসবাবপত্র ও যা ছিল সবকিছুই পানিতেই আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ওএইচ/