পানিতে বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
একদিকে বান্দরবানে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় চলছে লকডাউন, তার ওপর মঙ্গলবার (১৬ জুন) মধ্যরাত থেকে অব্যাহত টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
বান্দরবান বাজারের ব্যবসায়ী পিন্টু দাশ বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৮ মার্চ থেকে বান্দরবানে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। এর পর আবার বান্দরবানকে লকডাউন করা হয়েছে। অন্যদিকে গত দু’দিন থেকে অব্যাহত ভারী বর্ষণে জীবনে অনেক কষ্ট নেমে এসেছে।
বান্দরবান ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রবিউল বাংলানিউজকে বলেন, গত দু’দিন থেকে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টিতে কোনো কাজ করতে পারছি না। প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা থাকায় সবাই আতঙ্কে রয়েছি।
এদিকে টানা বর্ষণের কারণে বান্দরবানের পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসার আহ্বান জানান পৌর মেয়র।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বাংলানিউজকে বলেন, গত দু’দিন থেকে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করাসহ নির্ধারিত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করে সেখানে জনসাধরণকে এই দু:সময়ে আশ্রয় দিতে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তথ্যমতে, বান্দরবান জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় দুই হাজার পরিবার।
** টানা বর্ষণে লামা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এসআরএস