বুধবার (১৭ জুন) ও বৃহস্পতিবারের (১৮ জুন) প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে নগরীর অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। জলজটের কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যেই আছে নগরীর হাজার হাজার মানুষ।
ভারী বৃষ্টিতে মহানগরীর মুজগুন্নী বাস্তুহারা, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার প্রথম ফেজ, গোবরচাকা, নবীনগর, শামসুর রহমান রোড, কেডিএ এভিনিউ এলাকার অধিকাংশ ভবনের নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছে। ড্রেনের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মহানগরীর শান্তিধাম মোড়, রয়্যালের মোড়, পূর্ব বানিয়াখামার, পিটিআই, নিরালা, দোলখোলা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, বাইতিপাড়া, খানজাহান আলী রোড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, খালিশপুর, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে দুই দিনের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বাস্তুহারা এলাকায়। অনেকের ঘরে পানি উঠেছে। এতে দুর্ভোগে এলাকার শত শত পরিবার।
মহানগরীর দোলখোলা এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব বলেন, খুলনা মহানগরীর পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট ও দখলদারিত্বের কবলে পড়ায় ভারী বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা অনিবার্য হয়ে ওঠেছে। যে কারণে বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবছে মহানগরী। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হচ্ছে নগরীর অধিকাংশ এলাকা। বৃষ্টিতে ও জোয়ারের পানিতে রূপসা ও ভৈরব পাড়ের অলিগলি থেকে শুরু করে তলিয়ে যাচ্ছে প্রধান সড়কও।
খুলনা আঞ্চলিক আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় থাকার প্রভাবে খুলনায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে। যা আরও দুই তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, আষাঢ়ের প্রথম তিনদিনে নগরীতে মোট ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে পহেলা আষাঢ় ১৬, দ্বিতীয় দিন ১৫ এবং বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এমআরএম/এএটি