বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সাড়ে ১১ টার দিকে ওই খালের একটি ব্রিজের সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, গত বুধবার (১৭ জুন) দুপুর ১ টার দিকে আশুলিয়ার ঘোষবাগের বালুর মাঠ এলাকার নয়নজুলি খালে পড়ে নিখোঁজ হয় শিশু লাইসা।

নিহত লাইসা পিরোজপুর জেলার জুসখোলা থানার রাকিবের মেয়ে। রাকিব মুদি ব্যবসায়ী ও মা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তারা স্থানীয় মাসুদের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, গত বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে  স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে দুপুর থেকে ওই এলাকায় গিয়ে নিখোঁজ শিশু লাইসাকে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্য বিশিষ্ট এখটি ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি ডুবুরি দল যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। শেষ পর্যন্ত নিখোঁজ শিশুর সন্ধান না পাওয়ায় সন্ধ্যায় আলোর স্বল্পতায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস। পরে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করে সাড়ে ১১ টার দিকে ওই শিশুর সন্ধান পায় ফায়ার সার্ভিস।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর জিহাদ মিয়া জানান, দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে শিশু লাইসার মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের বাবার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত শিশুর বাবা রাকিব বলেন, বুধবার দুপুরে শিশু লাইসা তার দোকানে যাওয়ার সময় নয়নজুলি খালে পড়ে নিখোঁজ হয়। এ সময় শিশুটির খেলার সাথী অপর এক শিশু তাকে পড়ে যেতে দেখে বাড়ির লোকজনকে বললে ঘটনাস্থলে যায় এলাকাবাসি। পরে শ্রমিক লীগের মামুন শিকদার ও যুবলীগের মেহেদি হাসান ফায়ার সার্ভিসকে ডেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ওএফবি