মঙ্গলবার (১৬ জুন) মধ্যরাত থেকে টানা বর্ষণে লামা উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে লামা পৌরসভার বাসটার্মিনাল, বাজার, ছোটনুনারবিল পাড়া, টিএনটি পাড়া, নয়াপাড়া, রাজবাড়ি, কলিঙ্গাবিল, চাম্পাতলী, ছোটবমু, রূপসী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার শতাদিক বাড়ি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ব্যাপক ক্ষতিমুখে পড়েছে কৃষক। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও মাছের পুকুর। ভূমি ধ্বস ও প্রবল বন্যা আশঙ্কায় লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করে সর্তক করা হয়েছে । ইতোমধ্যে পাশর্বতী লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে বন্যার্থদের আশ্রয়ের জন্য।
লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বাংলানিউজকে জানান, বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যে কোনো প্রকার দূর্ঘটনা ঘটলে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্ববান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ওএফবি