বুধবার (১৭ জুন) দিনগত রাতে গাজীপুরের টঙ্গী ও খুলনার রূপসা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি জমির, আবুল আলী, গোলাম মোস্তফা ও খাদিজাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে আবদুর রহিম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির এসব তথ্য জানান।
বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
নগরের মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে গত ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে গত ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে গত ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত রোগীর স্বজনরা গত ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. রকিবকে লাথি, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে গত ১৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, গ্রেফকৃতদের মধ্যে মৃত রোগী শিউলী বেগমের ভাই জমির, স্বামী আবুল আলী, ভাবি খাদিজা ও চাচা গোলাম মোস্তফা রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এমআরএম/আরবি/