বুধবার (১৭ জুন) দিনগত রাতে উপজেলার হাবিবপুর এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত হানিফ মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার সাহেব রামপুর এলাকার কাঞ্চন সিকদারের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাবিবুর এলাকায় ঘেঘা মজিবর রহমানের মেয়েকে বিয়ে করে হানিফ। বিয়ের পর থেকে তিনি তার শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন। সেখানে থেকে তিনি মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন। তার বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াতেন। গত বুধবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে সন্ত্রাসী হানিফসহ বেশ কয়েকজন হাবিবপুর এলাকায় ঝিকঝাক মাঠের পাশে অবস্থান করছেন। রাত ৩টার দিকে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় সন্ত্রাসী হানিফ গুলিবিদ্ধ হন। অন্যরা পালিয়ে যান। পরে হানিফকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ঘটনার সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুলতান মিয়া, কনস্টেবল আব্দুল মালেক ও সুমন মিয়া। তাদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার এসআই মুফতি মাহমুদ জানান, হানিফ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় মাদক, অস্ত্র, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
আরএস/আরবি/