ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (১৭ জুন) রাতে মন্ত্রী দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে জোন ভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের করণীয় বিষয়ক এক অনলাইন সভায় এ নির্দেশ দেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।

তাই সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তা এবং কষ্ট নিবারণের দায়িত্ব আমাদের সবার’।  

দেশে যে কোনো বিপর্যয়ে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে থেকে করোনাসহ সব ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

‘তিনি করোনা সংক্রমিত এলাকা পুরো লকডাউন না করে সাব জোনে ভাগ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন’।

মন্ত্রী আরও বলেন, কোনো একটি ওয়ার্ডে যদি এক লাখ মানুষের বসবাস হয় এবং করোনায় ২০০ জন আক্রান্ত হয় তাহলে এ ২০০ জন যে এলাকায় বাস করে শুধু সেই এলাকাকে লকডাউন করলে কাজ করতে সহজ হবে।

সাব-জোনগুলোকে পরিচালনা করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মসজিদের ইমাম, এনজিও কর্মীসহ সমাজ সেবকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, জোন বা সাব-জোন ভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হলে স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, লকডাউন এলাকার সুবিধাজনক স্থানে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মোবাইল নম্বর এলাকার জনসাধারণকে দিতে হবে। পরিস্থিতি অনুসারে জনসাধারণ নিজ থেকে সচেতনতা অবলম্বন করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, করোনা প্রতিরোধে রেড জোন, ইয়েলো ও গ্রিন জোন ঘোষণা করার এখতিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। জোন বা সাব-জোন ঘোষণা করার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের নয়। জোন ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করার পর তা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

এ সময় মেয়রদের নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর/ সংস্থার সঙ্গে সভা বা যোগাযোগ করে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ও প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা গ্রহণ করার পরামর্শ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

 

টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয় এবং গণপরিবহন চালু হয় ১ জুন থেকে।

করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এখন জোন ভিত্তিক লকডাউন করার দিকে যাচ্ছে সরকার। সংক্রমণের ভিত্তিতে ঢাকা শহরের ৪৫টি এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার পরীক্ষামূলক রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে। সে এলাকা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, যে এলাকায় যেদিন থেকে রেড জোন ও লকডাউন ঘোষণা করা হবে সেই এলাকায় ওইদিন থেকে সাধারণ ছুটি কার্যকর হবে। এটা পর্যায়ক্রমে হবে।

ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকা রেড জোনের মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।