বুধবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়েছে ওই প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্চ মাসে সহিংসতার শিকার ২৪৩ জনের মধ্যে ১৩৯ জন নারী ও ১০৪ জন শিশু। তাদের ৮১ জন ধর্ষণের শিকার। এপ্রিল মাসে ৫৮ জন নারী ও ৬৪ জন শিশুসহ মোট ১২২ জন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ৬৮ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ মে মাসে সহিংসতার শিকার ১১৫ জন। তাদের ৭০ জন নারী ও ৪৫ জন শিশু। এই মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৭ জন নারী ও শিশু।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের জনগণও করোনা সংকটের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে ‘লকডাউনে’ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরের ভেতর অবস্থান করতে হচ্ছে। অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় অলস সময় অতিবাহিত করছে। অর্থনৈতিক টানাপড়েন, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন, অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে হতাশা ও অস্থিরতা বোধ করায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সহিংস আচরণের ঘটনা ঘটছে। প্রান্তিক হওয়ার কারণে নারী ও শিশুর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া নারী ও কন্যা শিশুরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে। একইসঙ্গে করোনা সংকটকালীন সময়ে সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি ও বেসরকারি সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগও সীমিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এইচএমএস/টিএ