রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে পরীক্ষামূলকভাবে যে লকডাউন করা হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে, যেখানে লকডাউন প্রয়োজন, সেখানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বুধবার (১৭ জুন) রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে চলমান লকডাউন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ কথা বলেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে সংক্রমণের আধিক্যের দিক থেকে জোন চিহ্নিত করে রেড জোনে এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের পথে এগোচ্ছে সরকার। রেড জোনের খসড়া তালিকায় থাকা ঢাকার ৪৫টি এলাকার মধ্যে ফার্মগেটের কাছে পূর্ব রাজাবাজার ১২ জুন থেক পরীক্ষামূলক লকডাউন করা হয়। প্রস্তুতি চলছে পুরান ঢাকার ওয়ারীতেও।
পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এখানে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়েছে এবং এখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে যেখানে লকডাউন প্রয়োজন সেখানে তা গ্রহণ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
লকডাউন ঘোষিত এলাকায় স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য জরুরি সেবাগুলো নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, লকডাউন করা এলাকায় গরীব দুঃস্থ, খেটে খাওয়া মানুষের বাড়িতে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আর সামর্থ্যবানদের কাছে খাদ্যসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপসহ যেসব দেশে করানো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে, তারাও সবকিছু চালু করছে। কারণ মানুষকে, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে এর বিকল্প নেই।
লকডাউন করা এলাকায় টেলিমেডিসিন সেবা চালু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য এসব এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়।
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোতে পূর্ব রাজাবাজারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মোকাবিলা করা সম্ভব।
মেয়র আতিকুল ইসলাম, উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ লকডাউন কার্যক্রমে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ