সোমবার (১৫ জুন) ভোরে ওই সীমান্তে ভারতের আগ্রাবাদ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে নিহত হন তিনি। এরপর একদিন পেরিয়ে গেলেও তার মরদেহ ফেরত দেয়নি তারা।
সুভাস পোরশা উপজেলার তুরিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভুলু রায়ের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে নীতপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নিহতের মরদেহ ফেরত আনতে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের জন্য দফায় দফায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু বিএসএফের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহ ফেরত আনতে দুই রাষ্ট্রের কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে, সেগুলো মেনেই দ্রুত মরদেহ হস্তান্তরের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।
জানা যায়, সোমবার ভোরে নীতপুর সীমান্তে ভারতীয় গরু আনতে যান একদল বাংলাদেশি রাখাল। এসময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় আগ্রাবাদ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সুভাস।
এদিকে সুবাসের ছোট ভাই শ্রী কার্তিক রায় বাংলানিউজকে বলেন, সুবাসের চায়ের দোকান ছিল। গরু চোরাচালানের সঙ্গে আমার ভাই জড়িত না। তবুও কেন তাকে হত্যা করা হলো জানি না। এই হত্যার বিচার এবং ভাইয়ের মরদেহ ফেরত চাই। লাশট যদি পাই তাহলে অন্তত শেষ দেখাটা দেখতে পাবো।
** নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফর গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
এসআরএস