সোমবার (১৫ জুন) জেলা তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে সবাইকে জানানোর জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) থেকে প্রায় ৩ সপ্তাহের জন্য রেড জোন বহাল থাকবে ওই দুই পৌরসভায়।
রেড জোন থাকাকালীন জরুরি দোকান তথা মুদি ও ফার্মেসি দোকান ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলে আটক করবে পুলিশ। এ ছাড়া ঘর থেকে বের হলে অব্যশই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হতে হবে। একইসঙ্গে বাইরে বের হওয়া ব্যক্তি যদি প্রয়োজনীয় কারণ জানাতে/দেখাতে ব্যর্থ হন তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় সাধারণ মানুষ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ৫২৫ জনের বেশি লোকের কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। এ কারণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সদর পৌরসভা ও ছাতক পৌরসভায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ার ফলে এই দুই এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া ছাতক উপজেলার উপর অঘোষিত রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। করোনা ঠেকাতে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সুনামগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ সময়ে যদি কেউ পাড়ায় আড্ডায় দেয় পুলিশ দেখতে পায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হবে। একইসঙ্গে নীরবতার ফাঁকে যাতে চুরি বাড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখবে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজনে যে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরে যেতে পারবে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ বিতরণ করেছি। যা আমার পৌরসভার জন্য পর্যাপ্ত। এ সংকটকালীন সময়ে পৌরসভা খোলা আছে এবং যথাসাধ্যভাবে সব রকম নাগরিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জে সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সবাইকে সচেতন হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা ছাতক ও সদর পৌরসভাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
আরএ