বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিভিল সার্জন মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পাঠানো হয়েছে ২৬৯টি।
বৃহস্পতিবার ২৯৯ জনের ফলাফল আসে ঢাকার নিপসম ল্যাব থেকে। এর মধ্যে ১০৩ জনের পজিটিভ আসে। এদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদরে ৩৭, টংগিবাড়ীতে ৫, সিরাজদিখানে ২৭, লৌহজংয়ে ৩১ ও শ্রীনগর উপজেলার রয়েছেন ৩ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার নতুন শনাক্তদের মধ্যে আছেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুমন বণিক ও লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ। জেলায় আক্রান্ত মোট ১ হাজার ৩৯১ জনের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদরে ৬০৭, টংগিবাড়ীতে ১০৮, সিরাজদিখানে ২০১, লৌহজংয়ে ১৯৪, শ্রীনগরে ১৪৮ ও গজারিয়া উপজেলায় রয়েছেন ১৩৩ জন। সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩৩৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, উপসর্গ ছাড়া কারোর টেস্ট করা হবে না। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত এসেছে জেলা পর্যায়ে। অনেকেই উপসর্গ ছাড়াই করোনা টেস্ট করতে আসেন। সুস্থ ব্যক্তিও এ টেস্ট করাতে আসছেন। তাই ৪টি উপসর্গ যেমন- জ্বর, গলাব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তার করোনা টেস্ট করা যাবে। কিন্তু এসব উপসর্গ ছাড়া কাউকে এখন টেস্ট করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সদরেই অনেক পরিমাণে কীটের প্রয়োজন পড়ছে। মাক্স পড়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। কেউ যদি মাক্স না পড়েন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রচার-প্রচারণা বাড়ানো হবে। চায়ের স্টল বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। এছাড়া যেসব স্থানে হাট বসে এসবও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যানবাহনে নির্ধারণ করে দেওয়া যাত্রী পরিবহনের ব্যাপারে কঠোর নজড়দারি রাখা হবে। দোকান-পাট, মার্কেটগুলো যাতে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি পর্যন্ত খোলা না থেকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রেড জোনের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এসআরএস