ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঢাকায়, অতিষ্ট নগরবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২০
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঢাকায়, অতিষ্ট নগরবাসী ফাইল ফটো

ঢাকা: মৌসুমী বায়ু আকাশ ছেয়ে নেওয়ার আগে বাতাসে ছড়াচ্ছে জলীয় বাষ্প। তারপরও বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। সবমিলিয়ে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট রাজধানীবাসী।

টানা চারদিন ধরে ভ্যাপসা গরম পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। নেই বয়ে চলা বাতাস।

গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। সারাদিনের তপ্ত রোদের পর সন্ধ্যা থেকে বিকিরণে গরম অনুভূতি বেড়েছে আরও। ফলে হাসফাঁস ওঠেছে চারদিকে।

এই পরিস্থিতিতে অনেকে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করতে বেছে নিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

ইলিয়াস কমল নামে একজন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম! আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ডিপ ফ্রিজ খালি করতে হবে। নৈলে এই গরমে কেমনে ঘুমাবো!’ 

তরুণ-যুবাদেরই যখন এই গরম সহ্য হচ্ছে না, তখন শিশু আর বয়স্কদের কী অবস্থা তা অনুমান করাই যায়।

আফসানা হক নামের এক গৃহিণী জানান, তার তিন বছরের ছেলে আরিফ হোসেন ঘামতে ঘামতে অস্থিরতায় ভুগেছে সারাদিন। রাতের গরম যেন আরও সহ্য হচ্ছে না। ঘুম পাড়ানোও যাচ্ছে না তাকে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকাতে মঙ্গলবার (০৯ জুন) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এছাড়া টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফেনী, মাদারীপুর, চাঁদপুর, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়েও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহ অব্যহত থাকতে পারে। তবে আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়বে। সে সময় বর্ষা দেশের মধ্যভাগে ওঠে আসবে। তাপপ্রবাহের সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘণীভূত হতে পারে। এই অবস্থায় পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত অবস্থা অনুকূলে রয়েছে।

মৌসুমী বায়ুর কারণে বুধবার (১০ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারী ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বুধবার সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাজধানীতে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার।

মঙ্গলবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঢাকা ও খুলনায়, ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪১ মিলিমিটার। মঙ্গলবার দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়নি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত কমায় দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির উচ্চতাও কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের পর্যাবেক্ষণাধীন ৯৩টি স্টেশনের মধ্যে ৪৮ স্টেশনে পানির উচ্চতা হ্রাস পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
ইইউডি/ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।