ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে নতুন ৬১ জনের করোনা পজিটিভ, মোট আক্রান্ত ১০৯৬

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২০
মুন্সিগঞ্জে নতুন ৬১ জনের করোনা পজিটিভ, মোট আক্রান্ত ১০৯৬

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জে নতুন করে ৬১ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৯৬ জন। সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩০০ জন, মৃত্যু ২৯ জন।

সর্বমোট নমুনা পাঠানো হয়েছে ৫ হাজার ৯৩৯টি ও নমুনার ফলাফল এসেছে ৫ হাজার ৪৩৫টি। নমুনার ফলাফল আসা বাকি আছে ৫০৪ টির।

 

সোমবার (৮ জুন) বিকেলে সিভিল সার্জন মো. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বমোট শনাক্ত এক হাজার ৯৬ জনের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদরে ৫১৩ জন, টংগিবাড়ীতে ৭৮, সিরাজদিখানে ১৪৩, লৌহজংয়ে ১৩২, শ্রীনগরে ১১৯ ও গজারিয়ায় ১১১ জন।  

সিভিল সার্জন বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে আর নমুনা পাঠানো হয় ২৩০টি। জেলায় সর্বমোট হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তিন হাজার ২১২ জন, এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৩৫৪ জন। বর্তমানে হাসপাতাল ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন এক হাজার ৮৫৮ জন। সোমবার বিকেলে ১৯৩ জনের রিপোর্ট আসে ঢাকার নিপসম ল্যাব থেকে। নতুন ৬১ জনের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদরে ৪৩ জন, টংগিবাড়ীতে ৩, সিরাজদিখানে ১, লৌহজংয়ে ৫, শ্রীনগরে ৪ ও গজারিয়ায় ৫ জন আছেন।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেসব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেছে সেভাবেই জেলা পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির আগে থেকে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের নানা সমস্যা চলমান ছিল। চিকিৎসক সংকট, নতুন ভবন উদ্বোধন না হওয়া, আইসিইউসহ বেশি কিছু সুবিধা ছিল অনুপস্থিত। পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নয় এটি। এসব নিয়েই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এখন, শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে বেশি টেস্ট করা হচ্ছে এটিও কারণ। শুরুর দিকে সাধারণ মানুষ পরীক্ষা করতে আগ্রহী ছিল না। তাদের নানাভাবে বুঝিয়েও পারা যেতো না। কিন্তু এখন প্রতিদিন অনেক মানুষ আসতে শুরু করেছে করোনা টেস্টের জন্য। কিন্তু এর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় অনেকেই আছেন যারা ২-৩ বার অহেতুক করোনা পরীক্ষা করছেন। করোনা টেস্টের জন্য বর্তমানে সরকারিভাবে আসা কীটের কিছুটা সমস্যা আছে। তবে বেসরকারিভাবেও কীট সরবরাহ করে মজুদ করে রাখা আছে। এখন অনেক মানুষ আসছে হাসপাতালের দিকে করোনা পরীক্ষার জন্য। বহু প্রতিষ্ঠানও একত্রে ৩০-৪০ জন পর্যন্ত পৃথকভাবে টেস্ট করাতে চেয়েছিল তাদের মানা করে দেওয়া হয়েছিল। মানুষের মাঝে সচেতনতা কম যার কারণে বাড়ছে সংক্রমণ।  

এদিকে যেভাবে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে এর জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। নতুন ভবনে শয্যার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে। আর এখন যেহেতু বেশিরভাগ রোগী বাসাতেই হোম আইসোলেশনে আছেন তাই খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২০
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।