গত কয়েকদিনে যখনি শহরে বৃষ্টি হয়েছে তখনি শহরের সব রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব পানি জমে থাকছে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনার স্তূপগুলোতে।
এর মধ্যে শহরে বেড়েছে মশার উপদ্রব। দুইদিন পর পর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে নাসিকের একটি গাড়িতে করে মশার ওষুধ স্প্রে করলেও এলাকাগুলোতে ও বাড়িঘরে কোনো মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। প্রধান প্রধান সড়কে চলমান অবস্থায় মশার ওষুধ স্প্রে করায় তার সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী ও এলাকাগুলোর বাড়িঘরের মানুষরা।
শহরের পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফজলুল করিম জানান, মশার ওষুধ গত এক মাসে এখানে ছিটাতে অন্তত আমি দেখিনি। শুনেছি চাষাঢ়ার দিকে মেইন রোডে ছিটানো হয়। মশার যন্ত্রণায় এদিকে তো আমরা থাকতে পারি না। এই যে বৃষ্টি হয়, বৃষ্টি হলেও আমাদের শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে যায়। নাসিক কাজ করে না সেটা বলবো না তবে বর্ষা মৌসুমকে ঘিরে অবশ্যই আগাম প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী আবুল আমিন জানান, আমাদের বর্ষা মৌসুম ও ডেঙ্গুকে ঘিরে অনেক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সবকিছু তো আর মুখস্ত বলা যায় না তবে আমাদের ওয়েবসাইটে সবকিছু দেওয়া আছে।
তবে নাসিকের ওয়েবসাইটে (ncc.gov.bd) বর্ষা মৌসুম ও ডেঙ্গুকে কেন্দ্র করে তাদের গৃহীত কোনো পদক্ষেপ কিংবা আগাম পদক্ষেপের তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২০
এএটি