শনিবার (০৬ জুন) রাতে ৯টার দিকে নিহত আবু হানিফ মিস্টারের বাবা আরমান আলী বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি শাজাহানপুর থানায় রেকর্ড হওয়ার পরপরই পুলিশ সুপারের নির্দেশে তার তদন্তভার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে স্থানান্তর করা হয়।
জানা যায়, মামলার এজাহারে আসামীর তালিকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি (অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রস্তাবিত নতুন কমিটিরও সহ-সভাপতি) আলহাজ্ব শেখকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে। তবে আসামীর তালিকায় ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এজাহারে হত্যাকাণ্ডে সুস্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। পূর্ব শত্রুতার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (০৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে মিস্টারকে হত্যা করা হয়। শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা এলাকার একটি মসজিদে প্রবেশের মুহুর্তে সন্ত্রাসীরা আবু হানিফ মিস্টারের ওপর চড়াও হয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের পর পরই বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু হানিফ মিস্টারের বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ নয়টি মামলা ছিল। ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে বাদ এশা তাকে দাফন করা হয়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, নিহত আবু হানিফ মিস্টারের বাবা শনিবার রাতে শাজাহানপুর থানায় গিয়ে এজাহার দাখিল করেন। হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার বগুড়ার ডিবি পুলিশকে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৩ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২০
এসআইএস