ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২০
বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু

বাগেরহাট: মৎস্য ঘেরে গিয়ে গলদা চিংড়ির রোগ নির্ণয় ও চিংড়ি চাষিদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার জন্য বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু হয়েছে। 

বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগ ও পরিচালনায় এ ক্লিনিক চালু করা হয়।

শনিবার (০৬ জুন) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার মিজানুর রহমান ও হারিদুল ইসলামের মৎস্য ঘেরে গিয়ে পানির গুণাগুণ ও মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে এ কার্য্যক্রম পরিচালনা করেন বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

 

এসময় ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের টিম লিডার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম রাকিবুল ইসলাম, মোসা. সাবরিনা খাতুন, শরিফুল ইসলাম, মোল্লা এনএস মামুন সিদ্দিকিসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রতিষ্ঠানের চত্বরে বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকরতা ড. এএফএম শফিকুজ্জোহা ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

করোনা পরিস্থিতি ও আম্পান পরবর্তী সময়ে যেসব চাষিরা গবেষণা কেন্দ্রে আসতে পারবেন না। তারা নিজের খামারে বসে সেবা নিতে পারবেন। যারা সেবা পেতে আগ্রহী তারা ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের নির্দিষ্ট নম্বরে কল দেবেন। সমস্যা জানালে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের সদস্যরা চাষির ঘেরে চলে যাবেন।

ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর: ০১৭১৫-১৪৪৫০৭, ০১৭১১-৪৫০৫০০, ০১৬১৭-৮৯০৫৭১।

এদিকে দীর্ঘদিন পরে হলেও বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু হওয়ায় খুশি হয়েছেন চিংড়ি চাষি ও সংশ্লিষ্টরা। চিংড়ি চাষি মিজানুর রহমান ও হারিদুল ইসলাম বলেন, মাছ চাষই আমাদের জীবিকার প্রধান উৎস। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে মাছের রোগ লেগেই আছে। ফলে আমরা একটু শঙ্কায় থাকতাম। মাছের রোগ হলে উপজেলা সদর এবং অনেক সময় জেলা সদরেও যেতে হত। যাতে টাকা ও সময় দুটোই নষ্ট হত।  

এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য গবেষণাকেন্দ্র বা উপজেলা ও জেলা মৎস্য অফিসে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু হওয়ায় আমরা আশার আলো দেখছি। ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের গাড়িতে মৎস্য বিজ্ঞানিরা আমাদের ঘেরে আসলেন। পানির গুণাগুণ ও মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিলেন। আমাদের খুব ভাল লেগেছে। সারা বছর ধরে এ ধরণের কর্মসূচি চলমান থাকলে চাষিরা উপকৃত হবে।

ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের টিম লিডার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম রাকিবুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও আম্পান পরবর্তী সময়ে অনেকে বাড়ি থেকে বের হতে চান না। তাই প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হন। এ মুহূর্তে চাষিদের যেসব সেবা প্রয়োজন আমরা সেসব সেবা দিচ্ছি। যে চাষি বাড়ি বসে সেবা পেতে আগ্রহী তারা যদি আমাদের নম্বরে ফোন দেয় তাহলে আমরা তার ঘেরে চলে যাব এবং প্রয়োজনীয় সেবা ও পরামর্শ দেব।

বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকরতা ড. এএফএম শফিকুজ্জোহা বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা চাষিদের দোর গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু করেছি। ৭ সদস্যের এই টিম চাষিদের ঘেরে গিয়ে সেবা দেবে। চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও করণীয় সম্পর্কে জানাবেন আমাদের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। বছরব্যাপী এ কার্য্যক্রম চলমান থাকবে। ফলে চাষিরা উপকৃত হবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad