শনিবার (০৬ জুন) সকালে সরাইল উপজেলার বুড্ডাপাড়া ও নাসিরনগর উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া, এবং আশুরাইল বেনীপাড়া, শ্রীঘর গ্রামের উপর দিয়ে কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ঝড় বয়ে যায়।
এদিকে ঝড়ের সময় মো. সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
গ্রামের লোকজন বলেন, সকালে আমরা যার যার কাজে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি আকাশ কালো হয়ে প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে আমাদের ঘর বাড়ি ভেঙে পড়ে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য পরিবারের লোকজন নিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যায়।
কথা হয় ক্ষতিগ্রস্ত আশুরাইল গ্রামের মিঠুন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ঝড়ে আমার ঘরে উপরের টিনের চাল উড়ে নিচে পড়ে যায়। আমি ব্যথা না পেলেও আমার ছেলের পা ভেঙে যায়।
প্রবীণ বৃদ্ধ বরজু মিয়া বলেন, বিকট শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। দেখলাম পূর্ব দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে বাতাস এসে হিসকে টান দিয়ে বসত ঘরটিকে মাটির নিচে শুইয়ে দিল। ঘরের ভেতরে সব আসবাবপত্র দুমড়ে মুচড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত আউশ মিয়া বলেন, আমার বসতঘর ভেঙে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। একদিকে করোনার কারণে ঠিকমত কাজকর্ম করতে পারছিনা। কিভাবে ঘর ঠিক করব সেই টাকাও নাই। সরকার যেন আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করে।
গৃহবধূ সুন্দরবানু বলেন, কোথায় যাব, কী খাব এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। করোনার কারণে কোনো কাজকর্ম নাই। সংসারে অভাবই ছাড়ছে না।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা সরেজমিন ঘুরে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে নগদ টাকা, চাল ও ঢেউটিন দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফী বলেন, ঝড়ে কাঁচা-পাকাসহ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কবলে একজন নিহত ৫ জন আহত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
আরএ