শনিবার (৬ জুন) রাজধানীতে প্রবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বাসে-ট্রেনে আবার কেউ কেউ ফিরছেন লঞ্চে। সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে কর্মজীবী মানুষকে ফিরতে দেখা যায়।
ভোলা থেকে লঞ্চে করে ঢাকায় ফিরেছেন আলফাজ হোসেন। একটি বেসরকারি ব্যাংকের এই কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এবার বেশ কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটিয়েছি। রোববার থেকে অফিসে জয়েন করতে হবে। এ কারণে পরিবার নিয়ে আজই ঢাকায় চলে এসেছি।
এদিকে, লঞ্চঘাটে পরিলক্ষিত হয়েছে সাধারণ মানুষের ভিড়। তাড়াহুড়ো এবং হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে অনেককেই। অনেকেই আবার জটলা পাকিয়ে অপেক্ষা করেছেন। চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, জীবাণুমুক্ত টানেলের ভেতর দিয়ে যাত্রীদের টার্মিনালে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাতে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে আসন।
এদিকে সীমিত আকারে গণপরিবহণ চলাচলের ফলে ফিরতি যাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। ঢাকায় প্রবেশে বিভিন্ন রুটে চলাচলের জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। তবে থেমে নেই ফেরার পালা।
এ প্রসঙ্গে রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডের জেআর পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বাংলানিউজকে বলেন, অফিস খুলে দেওয়ায় রাজধানীতে মানুষের ফেরার চাপ আছে। তবে রাজধানী ছাড়ছে খুব কম মানুষই।
এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষেরা।
অন্যদিকে, আজও কিছু মানুষ ঢাকা থেকে দেশের বাড়ি যেতে ভিড় করেন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এইচএমএস/এনটি