ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্বাসকষ্ট হওয়ায় মাকে ঢামেকের গেটে ফেলে গেছেন ছেলে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২০
শ্বাসকষ্ট হওয়ায় মাকে ঢামেকের গেটে ফেলে গেছেন ছেলে

ঢাকা: করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এক মাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গেটের সামনে ফেলে রেখে গেছেন তার ছেলে। ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ উদ্ধার করে ওই নারীকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করে দিয়েছে।

শনিবার (৬ জুন) দুপুরে বেলা ৩টার দিকে মনোয়ারা বেগম (৫০) ওরফে মনিরা নামের ওই নারীকে ঢামক করোনা ইউনিটের নতুন ভবনের ৭০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।  

এ ব্যাপারে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান জানান, দুপুরে খবর পাই এক নারী হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে পড়ে আছেন।

তার ছেলে করোনা সন্দেহে তাকে ফেলে রেখে গেছেন। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে করোনা ইউনিট নতুন ভবনের ৭০২ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।

তিনি জানান, ওই নারীর নাম মনোয়ারা বেগম (৫০) ওরফে মনিরা। তার স্বামীর নাম শাহজাহান মিয়া। স্থায়ী ঠিকানা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে। ঢাকায় পরিবার নিয়ে মিরপুর কমার্স কলেজের পাশের একটি বস্তিতে সালাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

ভুক্তভোগী মনিরার বরাত দিয়ে আব্দুল খান জানান, সম্প্রতি তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িওয়ালা সালাম তার সন্তানদের বলেন, তাকে ওই বাড়ি থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে। যেহেতু তার করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তা বস্তিতে অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।  

এরপর ছেলে মোজাম্মেল সরকার ও বাড়িওয়ালা সালাম দুইদিন আগে মনিরাকে ঢামেকের নতুন ভবনের সামনে ফেলে রেখে যান। তখন থেকে ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে এ নারী এখানেই পড়ে আছে বলে জানান আশপাশের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। পরে ঢামেকের পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।  

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল খান জানান, ওই নারীর অবস্থা বেশি ভালো নয় বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।  

মনিরার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢামেকে নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল হোসেন জানান, ওই নারীকে ভর্তি করা হয়েছে। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এখন তার কিছু টেস্ট করা হচ্ছে। করোনা টেস্টও করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০ 
এজেডএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।