শনিবার (৬ জুন ) সকাল পৌনে ১১টার দিকে গ্রামবাসীর সহায়তায় মৃতের দাফন সম্পন্ন করে পুলিশ ও স্বাস্থ্যবিভাগের লোকজন।
এর আগে শুক্রবার (৫ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুর রহমানের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, রাতে মারা যাওয়ার পর সকাল পেরিয়ে গেলেও করোনার ভয়ে মরদেহের কাছ যায়নি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ পরিবারের কেউ। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
স্থানীয়রা জানান, মৃত ব্যক্তির গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে চায়ের দোকান রয়েছে। ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। এ অবস্থায়ও চায়ের দোকান করে এতদিন যাদের ভরণ-পোষণ মিটিয়ে আসছিলেন, মৃত্যুর সময় মুখে পানি দেওয়ার জন্যও তাদের কাউকেই পাশে পাননি।
তারা আরও জানান, ওই ব্যক্তি কয়েকদিন ধরে জ্বর ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৫ জুন) দুপুরে তিনি গোবিন্দগঞ্জের একটি ক্লিনিকে যান। চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে টাইফয়েড হয়েছে বলে জানান। এরপর তাকে বাড়িতে আনা হয়। পরে শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে মৃত ব্যক্তির দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. রেজাউল করিম, উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন মসজিদের ইমাম মাওলানা আরিফ বিল্লাহ ও মোয়াজ্জিন মোফাজ্জল হোসেন দাফনে অংশ নেন।
তিনি আরও জানান, মৃত ব্যক্তির পরিবারের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে আব্দুর রহমানের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
আরএ