শনিবার (৬ জুন) এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও সমন্বয়ক মো. মহসিন ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, করোনার কারনে আজ বিশ্বব্যাপী সমস্যা তৈরি হয়েছে।
‘পোশাকশিল্প কারখানার মালিকরা কী মনে করেন? রফতানি করে দেশের অর্থনীতির জন্য তারা বড় অংক আয় করে আনেন এটা সত্য, তারচেয়েও বড় সত্য যে, শ্রমিকের ঘামে ভেজা, রক্ত পানি করা শস্তা শ্রমেই তারা তা আনেন এবং বিত্তশালী হন। বিদেশে অঢেল সম্পদ, দেশে বিত্ত-বৈভব, ক্ষমতা, বিলাসি জীবন ভোগ করেন। সারাজীবন সরকার তাদের দুধে-ভাতে পুষেছে, আর তারা জনগনের টাকায় হৃষ্টপুষ্ট হয়েছেন। ’
এ সূত্রে তারা আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দাকালে পোশাকশিল্প কারখানার মালিকদের জন্য জনগণের টাকা থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। জনগনের টাকা খাওয়া সেই পোশাকশিল্প কারখানার মালিকরা করোনার প্রথম প্রতিরোধ পর্ব ভেঙে কারখানা খুলে শ্রমিকদের অমানুষের মতো পথে নামিয়ে আনেন চাকরি যাওয়ার হুমকিতে। এভাবে তারা দেশব্যাপী করোনা ছড়িয়ে দেন। তারা সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনার নামে জনগণের পাঁচ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করবেন। পরে যখন দেখা গেল, সরকার দুই শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে, তখনই তাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারের টাকা নিয়েও শ্রমিকের বেতন-বোনাস দিতে বিলম্ব করেছে তারা। করোনাকালেও শ্রমিকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়েছে।
‘মহামারির সময় কারখানা চালানোর জন্য সরকারি প্রণোদনার টাকা পেয়েছে পোশাকশিল্প মালিকরা। এরপরও সব লোকসানের বোঝা শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের চাকরি ছাঁটাইয়ের অযৌক্তিক ও অন্যায় সিদ্ধান্তের কারণে লাখ লাখ শ্রমিক সংকটে পড়বেন। শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতির অন্যায্য বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। ’
বিবৃতিতে শ্রমিকদের জন্য চিকিৎসা বিমার ব্যবস্থা, ইতোমধ্যে ছাঁটাই শ্রমিকদের কাজের নিশ্চয়তা, করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষা ও চিকিৎসার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কারখনার মালিক ও সরকারকে নেওয়ার আহ্বান জানায় জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এমএইচ/এইচজে