ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজধানীতে ডেঙ্গু ঠেকাতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২০
রাজধানীতে ডেঙ্গু ঠেকাতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান শুরু

ঢাকা: এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাজধানীবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।

শনিবার (৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

সকালে অঞ্চল-৪-এর (মিরপুর-১০) ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ইব্রাহীমপুর পুল পাড়, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কলাওলা পাড়া,  ১৪ নম্বর ওয়ার্ডসহ ৭টি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।

এ ব্যাপারে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, আজ থেকে আমাদের চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ডেঙ্গু মশার জন্মস্থল ও লার্ভা ধ্বংস করবে।

সকাল ১০টা থেকে অঞ্চল-৪-এর ৭টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে এ অঞ্চলের সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর ১টা পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। আজ থেকে শুরু হয়ে টানা ১০ দিন একই সময় ধরে চলবে এ অভিযান।  

ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ফিরোজ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে এ অভিযান চলছে।  

‘১০ দিনব্যাপী এ অভিযান শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে, অর্থাৎ ১০টি সাবসেক্টরে অভিযান চালানো হবে। এভাবে আগামী ১০ দিনে সারা ডিএনসিসি এলাকায় চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে। প্রতিটি সাবসেক্টরে ৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১ জন মশক নিধনকর্মী, অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন মশককর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কিংবা কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা, কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা, যেগুলো এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করবেন। ’

চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে। এতে করে অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেজ তৈরি হবে। ডাটাবেজ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি মনিটর করা সহজ হবে। ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম অ্যাপটি তৈরি করেছেন বলে জানানো হয়।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এসএমএকে/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ