ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লিবিয়ায় সন্তানকে নির্যাতন করে অর্থ আদায়, ঢাকায় বাবার মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২০
লিবিয়ায় সন্তানকে নির্যাতন করে অর্থ আদায়, ঢাকায় বাবার মামলা

ঢাকা: লিবিয়ায় রাকিব নামে এক যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ বাংলদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবপাচারের বিষয়টি ফের সামনে আসে। এরপর মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে আসামি করে মানবপাচার এবং সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী রাকিবের বাবা মান্নান মুন্সি।

দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় গিয়ে দুই দফায় সাত লাখ টাকা দিলেও রাকিব নামে ওই যুবক আটকা পড়েন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিন উদ্দিন জানান, লিবিয়া ট্র্যাজেডির পর বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে ১৬ জনের নামোল্লেখ পল্টন থানায় একটি মামলা (নম্বর-০৩) দায়ের করেন মান্নান মুন্সি।

এরমধ্যে মামলাটির তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবি উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান।

তিনি জানান, বুধবার (৩ জুন) রাতে পল্টন থানায় মানবপাচার এবং সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে দায়ের করা মামলাটি ডিবি তদন্ত করবে। শুক্রবার (৫ জুন) মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বাদীর ছেলে রাকিবসহ অন্যান্যদের কিভাবে লিবিয়ায় নেওয়া হয়েছে, উল্লেখিত আসামিরা ছাড়াও আর কারা এ চক্রের সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

মামলার বাদী মান্নান মুন্সির অভিযোগ, গত ৭/৮ মাস আগে পরিচিত মোহসিন ও মনির মোটা অঙ্কের বেতনের প্রলোভনে তার ছোট ছেলে রাকিবকে লিবিয়ায় পাঠানোর কথা বলে। সে অনুযায়ী প্রথম দফায় কিছু জমি বিক্রি করে সাড়ে তিন লাখ টাকা মোহসিনকে দেওয়া হয়। এরপর রাকিবকে লিবিয়া পাঠানোর পর সেখানে জিম্মি করে আরও সাড়ে তিনলাখ টাকার জন্য নির্যাতন শুরু করা হয়।

এ নির্যাতনের ফলে আবারও জমি বিক্রি করে দালাল মোহসিনকে আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা দেন তিনি। দুই দফায় সাতলাখ টাকা দেওয়ার পরেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। তবে সম্প্রতি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় রাকিব পালিয়ে বেঁচে যায় বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ মময়: ২৪২২ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
পিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।