ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় করোনা সংক্রমণে রেকর্ড, একদিনে ৩৫ জন আক্রান্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২০
খুলনায় করোনা সংক্রমণে রেকর্ড, একদিনে ৩৫ জন আক্রান্ত

খুলনা: খুলনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে ৩৫ করোনা পজিটিভের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩০ জনই খুলনা মহানগরীর। যা এখনও পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণের নিরিখে রেকর্ড। এর আগে পিসিআর মেশিনে সর্বোচ্চ ৩০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছিল। যার মধ্যে খুলনায় ছিলো ২৬ জন।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) রাতে খুমেকের উপাধ্যাক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুমেকের পিসিআর ল্যাবে আজ মোট ১৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ১৪১ টি।

নমুনা পরীক্ষার পর ৩৫ টি পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যার মধ্যে খুলনা শহরের ৩০ টি, যশোরের ৪ টি ও ঢাকার ১ টি।

বৃহস্পতিবার শহরে শনাক্ত হওয়া রোগীরা সকলে আলাদা আলাদা এলাকার বাসিন্দা। বিশেষ করে ছোট বয়রা, সোনাডাঙ্গা, ময়লাপোতা, বয়রা, খালিশপুর, হরিণটানা, গোবরচাকা, সিএমভি কলোনী, হাজী মহসীন রোডের বাসিন্দা। এছাড়াও জেলা পুলিশ সদস্য, মেট্রোপুলিশ সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা রয়েছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার শহরে ১০ জন শনাক্ত হয়েছিলেন, তারা  ছোট বয়রা, নিউ মার্কেট, খান এ সবুর রোড (পুরাতন যশোর রোড), দৌলতপুর, ক্রিসেন্ট কলোনী ও কেডি ঘোষ রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলো।

খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাব ও খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১৫২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরীর মধ্যে রয়েছে ৯২ জন, দিঘলিয়ায় ২৪ জন, রূপসায় ১৩ জন, ডুমুরিয়ায় ৭ জন, দাকোপে ৬ জন, বটিয়াঘাটা ৩ জন, তেরখাদায় ৩ জন, ফুলতলায় ২ জন পাইকগাছায় ১ জন ও কয়রায় ১ জন। আর করোনায় মারা গেছেন ৪ জন। যার মধ্যে রূপসায় ৩ ও দিঘলিয়ায় ১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৭ জন। পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।  

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজ্জাত আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১২২ জন। সন্ধ্যায় খুমেকের পিসিআর ল্যাব থেকে জানতে পেরেছি আরো ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারা সকলে খুলনা শহরের বাসিন্দা। এমনকি প্রত্যেকের বাড়ী পৃথক পৃথক এলাকায়। এখন চিন্তার বিষয় আসলে কত জনের বাড়ি লকডাউন করা যাবে। ছোট শহরের এ পর্যন্ত ৯২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। একজন শনাক্ত হলে তার আশে পাশের কয়েকটি বাড়ি, কখনো ছোট বা সড়ক ধরে লকডাউন করা হয়। তাহলে পৃথক এত জায়গায় লকডাউন করা কিভাবে সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২০
এসএমএকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।