বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যস্ততা বেড়েছে সড়কে। কোথাও কোথাও দেখা যায় তীব্র যানজট।
বৃষ্টির কারণে দুপুরের পর রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল, গুলিস্তান, বংশাল ও জুরাইনের বিভিন্ন গলিপথের সড়কে পানি জমাতে দেখা দেখা যায়। বৃষ্টির পর সড়কগুলোতে প্রায় এক ফুট পর্যন্ত পানি জমে। এসময় রিকশা আর সিএনজি অকোটরিকশাই ছিল ওই এলাকার মানুষের চলাচলের মাধ্যম।
বৃষ্টির পানি জমার পাশাপাশি সড়কে বেড়েছে ব্যস্ততাও। দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী-বনানী-কাকলী-উত্তরা মহাসড়কে ছিল তীব্র যানজট। লোকাল বাস, দূরপাল্লার পরিবহন, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন গাড়ির যাত্রীদের এসময় দীর্ঘ যানজটে কাটাতে হয়েছে।
এদিকে সড়কে পরিলক্ষিত হয়েছে সাধারণ মানুষের ভিড়ও। তাড়াহুড়ো এবং হুড়োহুড়ি করে করে বাসে উঠতে দেখা গেছে অনেককেই। অনেকেই আবার জটলা পাঁকিয়ে অপেক্ষা করেছেন বাসের জন্য। এসময় শুধু মাস্ক ব্যবহার ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে মানতে দেখা যায়নি অন্য নির্দেশনা।
দুপুরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মতিঝিলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সাধারণ ছুটির আগের মতোই ভিড়। ফুটপাতে লোকজন গায়ে গা লাগিয়ে হাঁটছে। বিশেষ করে শাপলা চত্বর থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলায় অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হয়নি।
একই দৃশ্য ছিল রাজধানী আরেক ব্যস্ততম সড়ক পল্টন মোড়েও। সেখানে কথা হচ্ছিল ফকিরাপুলের বাসিন্দা রশীদ কবিরের সঙ্গে৷ তিনি বলেন, অফিস-আদালত খুলে গেছে। ঝুঁকি নিয়েই ঘর থেকে বের হয়েছি। ঘরে বসে থাকা আর সম্ভব হচ্ছে না।
মালিবাগ, শাহবাগ, হাতিরপুল, ধানমন্ডি এলাকায় দেখা গেছে রিকশার ভিড়। রিকশাতেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল বিভিন্ন সড়কে। রিকশা চালকরা জানান, দীর্ঘদিন পাড়া-মহল্লার রাস্তায় রিকশা চালালেও যাত্রী মেলেনি তেমন। গত কয়েক দিন আগের মতোই যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। সরকার সব খুলে দিচ্ছে জেনে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ।
চায়ের দোকান থেকে শুরু প্রায় সব ধরনের দোকান খোলা দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায়। কারওয়াবাজার, শান্তিনগর বাজার, হাতিরপুলের কাঁচাবাজারে দেখা যায় মানুষের ভিড়।
কারওয়ানবাজার এলাকায় কথা হয় প্রাইভেটকার চালক সিরাজ ও মোটরসাইকেল চালক ইকবাল আহমেদের সঙ্গে। তারা জানান, লকডাউন মোটামুটি শিথিল করার পরেই রাস্তায় নেমেছেন তারা। দীর্ঘদিন সবকিছু বন্ধ থাকায় বেশ কিছুটা সময় সমস্যার মধ্যে দিয়েই যেতে হয়েছে। তাই এখন ঝুঁকি থাকলেও জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে।
এদিকে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়কপথে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বেশি আছে চাকরিজীবীদের চাপ। সায়েদাবাদ, কল্যাণপুর, গাবতলী ও মহাখালীতে গত দু’দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় গত ২৬ মার্চ থেকে জরুরি সেবা বাদে সবকিছু বন্ধ ছিল। এরপর ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে অফিস আদালত খুলে দেওয়া হয়। ১ জুন থেকে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
এইচএমএস/এএ